বৈদ্যুতিক পাওয়ার এন্ড এনার্জি সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান ক্লাসটি “ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং ফান্ডামেন্টালস [ Electrical Engineering Fundamentals ]” এর ৬ষ্ঠ অধ্যায়ের [ Chapter 6 ] অংশ। বৈদ্যুতিক পাওয়ার এন্ড এনার্জি সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান [ Solutions to the problem relating to electrical power and energy ] ক্লাসটি ” মেকানিক্যাল [Mechanical]” কোর্সের [Course] যা “১ম সেমিস্টার, মেকানিক্যাল [ 1st Semester, Mechanical ] এর ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং ফান্ডামেন্টালস [ Electrical Engineering Fundamentals ] এ পড়ানো হয়।
বৈদ্যুতিক পাওয়ার এন্ড এনার্জি সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান
বৈদ্যুতিক পাওয়ার কাকে বলে? (What is called Electrical Power?)
কাজ করার সামর্থ্যকে শক্তি বলে। কোনো পরিবাহক বা তড়িৎ যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে তড়িৎপ্রবাহের ফলে পরিবাহক বা তড়িৎ যন্ত্রটি কাজ করার যে সামর্থ্য লাভ করে তাকে বৈদ্যুতিক শক্তি বা বৈদ্যুতিক পাওয়ার বলে৷ যদি V বিভব পার্থক্য বিশিষ্ট কোন পরিবাহকের ভেতর দিয়ে t সময়ে Q পরিমাণ আধান প্রবাহিত হলে কৃতকাজ বা ব্যয়িত শক্তি বা অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত শক্তির পরিমাণ, W = VQ।
বৈদ্যুতিক এনার্জি কাকে বলে? (What is called Electrical Energy?)
কাজ করার হার অর্থাৎ একক সময়ে কৃতকাজকে ক্ষমতা বলে। কোনো পরিবাহক বা তড়িৎ যন্ত্রের মধ্য দিয়ে এক সেকেন্ড ধরে তড়িৎ প্রবাহের ফলে যে কাজ সম্পন্ন হয় তাকে বৈদ্যুতিক ক্ষমতা বা বৈদ্যুতিক এনার্জি বলে। যদি তড়িৎ প্রবাহের ফলে t সেকেন্ডে W জুল পরিমাণ কাজ সম্পন্ন হয়, তাহলে বৈদ্যুতিক এনার্জি P = W/t।
বৈদ্যুতিক পাওয়ার (Electric Power )
যে হারে কোন বৈদ্যুতিক বর্তনীতে ইলেকট্রন প্রবাহিত হয়ে কাজ সম্পন্ন হয় তাকে বৈদ্যুতিক পাওয়ার বলে। আবার অন্য ভাবে বলা যায়। কারেন্ট এবং ভোল্টেজের গুণফলকে পাওয়ার বলে। এটিকে P দিয়ে প্রকাশ করা হয়। এটির একক ওয়াট পাওয়ার পরিমাপক যন্ত্রের নাম ওয়াট মিটার ।
বিভিন্ন পদ্ধতিতে পাওয়ার বা ক্ষমতার একক
C. G.S (Centigrade Gram Second) পদ্ধতিতে পাওয়ারের একক ‘ওয়াট’
F.P.S (Foot Pound Second) পদ্ধতিতে পাওয়ারের একক ‘হর্স পাওয়ার (Horse Power)
এক হর্স পাওয়ার = ৭৪৬ ওয়াট।
ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার অপচয়
কাজের জন্য প্রয়োজন শক্তি । সুতরাং বৈদ্যুতিক কাজের জন্যও প্রয়োজন বৈদ্যুতিক শক্তি । বিভিন্ন কাজের জন্য বা কাজ করার সময় বৈদ্যুতিক শক্তি অন্য শক্তিতে রূপান্তর হয়। এ প্রকার রূপান্তরকে ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার ব্যয় বা অপচয় বলে । বিদ্যুৎ যখন রোধকের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় তখন রোধক উত্তপ্ত হয়। তাপের কারণে তা উত্তপ্ত হয়ে থাকে । বিদ্যুৎ শক্তিই এ তাপের উৎস। বিদ্যুৎ শক্তির একাংশ তাপ শক্তিতে রূপান্তরের কারণে এরূপ ঘটেছে। সুতরাং রোধকে উৎপন্ন তাপের কারণে পাওয়ার অপচয় ঘটে । তাপে বায়িত (রূপান্তরিত) বিদ্যুৎ শক্তিই সার্কিটে পাওয়ারের অপচয় । কোন ক্রমেই এ অপচয় রোধ করা সম্ভব নয় ।
ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার অপচয়ের কারণসমুহ
১। গ্রাউন্ডিং বা আর্থ: মাটি বা ভূমিতে পাওয়ার অপচয় ;
২। লিকেজ: বিদ্যুৎ ব্যবস্থার বিভিন্ন লিকেজের জন্য পাওয়ার অপচয়;
৩। শর্ট সার্কিট: শর্ট সার্কিটজনিত পাওয়ার অপচয়;
৪। সিস্টেম লস: সিস্টেমে পাওয়ার ব্যবহারের জন্য অপচয়;
৫। ইলেকট্রিক্যাল লোড: লোডে পাওয়ার ব্যয়ের জন্য অপচয় ।
উদাহরণস্বরূপ একটি বাল্বে ২২০ ভোল্ট ও ৬০ ওয়াট লেখার অর্থ হচ্ছে বাতিটিকে ২২০ ভোল্ট প্রবাহ লাইনে সংযোগ করলে ৬০ ওয়াট শক্তি খরচ হবে।
বৈদ্যুতিক পাওয়ার এন্ড এনার্জি সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান নিয়ে বিস্তারিত ঃ
আরও পড়ুন…